রাজবাড়ীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা

BREAKING

5/recent/ticker-posts

রাজবাড়ীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা

 

প্রতিকি ছবি


প্রতিনিধি, রাজবাড়ী। 


রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলা থানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


১অক্টোবর বুধবার  এই মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে রাজবাড়ী ও পাংশায় ঝটিকা মিছিল বের করা হয়।

বালিয়াকান্দি থানায় মামলাটি দায়ের করেন ইকরাম মোল্লা। তিনি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য। ইকরামের বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামে। মামলায় জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক (দুইবার) হারুন অর রশীদসহ ১৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। এদের মধ্যে এজাহারভূক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পাংশা থানায় মামলাটি দায়ের করেন নাইমুর রহমান সোহাগ। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি সড়কের উপজেলার হুলাইল ব্রীজ এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে রাম দা, হকিস্টিক, লাঠিত ইটের টুকরা ও ককটেল নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় ঘটনাস্থলে ইকরাম উপস্থিত হলে তার গতিরোধ করা হয়। তার ওপর রাম দা, হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তার কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও ৪০ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে আওয়ামীলীগের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা রাজবাড়ী শহরের দিকে পালিয়ে যায়। মামলায় বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খানকে ১ নম্বর এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদকে দুই নম্বর আসামী করা হয়।

ইকরামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমি বাজারের মধ্যে আছি। চুরি হওয়ার মুঠোফোনের নম্বর জানতে চাইলে বলেন, একটু পরে ফোন করে জানাচ্ছি। কিন্তু তিনি আর ফোন করেন নাই। বিকেলে আবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া হলে পরে কথা বলবো বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার চার নম্বর আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

পাংশায় ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খানকে এক নম্বর, পৌর বিএনপির সভাপতি বাহারাম সরদারকে দুই নম্বর, পাংশা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিন খানকে তিন নম্বর আসামী করা হয়েছে।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ার জ্বলিয়ে পথ চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হয়। এঘটনায় বুধবার নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

এছাড়া সরকারি কাজে বাধাদান ও ভাংচুরের ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় ২ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামী হলো রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের খোশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ শেখ ও বোয়ালমারি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল প্রামাণিক। তাদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, দায়ের করা মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানীমূলক। আমাদের আন্দোলন থেকে দমিয়ে রাখার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার করা নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।